পোস্টস

চিন্তা

জুলুমকারীর মনস্তত্ত্ব বুঝেছি অন্যদের কাছ থেকে

২৬ এপ্রিল ২০২৪

মুনাওয়ার সিফাত

মানুষের হক্ব মেরে ঘুষ খেয়ে, দুর্নীতি করে কীভাবে মানুষ আশ্চর্যরকম সুখে থাকে আমি জানিনা। আমার মনে হয় দুর্নীতিবাজরা, জুলুমবাজরা ঐ প্রাপ্তিটাকে নিজের প্রাপ্য মনে করে সবসময়। অথচ তার প্রাপ্য বেতন জেনেই সে চাকরিতে ঢুকেছিল, এখন কিভাবে তাদের চাহিদা বেড়ে গেল বেতনের অনুপাতে তা আল্লাহ মালুম।

জুলুমকারীদের মনস্তত্ব সম্পর্কে আমার অল্প ধারণা হয়েছিল রিকশাওয়ালা এবং সিএনজিওয়ালাদের দেখে। 

এক সিএনজি চালকের রাত ৯ টার পর কিংবা হালকা মেঘ করলেই পরিমিত যাত্রী পাওয়ার পরও ৫ টাকার ভাড়া ১০/২০ টাকা করে ফেলার লজিক শুনে খুব হাসি পেয়েছিল। তাকে তার জুলুমের ব্যাপারে বুঝাতে গিয়ে মনে হলো সে ধরেই নিয়েছে এটাই তার হক্ব, তার সিদ্ধান্ত থেকে সে অনড়। 

তাকে বুঝাতে পারলাম না সে রিকশা/সিএনজিকে যখন পেশা হিসেবে নিয়েছে তখনই জানার কথা কোনোদিন যাত্রী বেশি হবে, কম হবে, আবহাওয়া খারাপ/ভালো থাকবে। সর্বাবস্থায় তার ভাড়া হওয়ার কথা একরকম। এটাই তো পলিসি হওয়ার কথা। অন্ততঃ পৌরসভার নিয়ম এটাই। অথচ সেও দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তার মতো গলা উঁচা করে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে বেশি বাড়িয়ে জোর খাটায়। 

আমার ছোট্ট মস্তিষ্কে আমি এটাই বুঝি যে অন্যের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে তার উপর যেকোনো কিছু চাপিয়ে দেয়াকে জুলুম বলে। হোক সেটা সরকারি অফিসের ফাইলে, ৫০ টাকার রিকশাভাড়া/সিএনজি ভাড়া ১০০ করা কিংবা পেঁয়াজ, তরমুজ, চিনি লবণের দাম নিয়ে সিন্ডিকেট করা।