পোস্টস

গল্প

মণ্ডলবাড়ির বউ (প্রিমিয়াম)

২২ এপ্রিল ২০২৪

মুহসীন মোসাদ্দেক

মূল লেখক মুহসীন মোসাদ্দেক

উপর্যুপরি পেটানোর ফলে মান্নান একেবারে নেতিয়ে পড়েছে। পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানোর শক্তি তার নেই, বসিয়ে রেখে বাঁধা হয়েছে তাকে। মান্নানের মাথা নোয়ানো। কপালের মাঝখানটায় ফেটে গেছে। ডানপাশের চোখের কোণা দিয়ে কপাল থেকে রক্ত গড়িয়ে চিবুক বেয়ে মান্নানের গায়ের কাপড় রাঙিয়ে দিয়েছে। নাক, ঠোঁটও ফেটে রক্তাক্ত। কিল-ঘুষি-রড-বাটামের আঘাতে পুরো মুখই তার ক্ষত-বিক্ষত, রক্তে লাল। রক্তগুলো এখন শুকিয়ে জমাট বেঁধেছে। তাজা রক্তমাখা মুখ এক রকম বিভৎস, শুকিয়ে যাওয়া জমাটবাঁধা রক্তে সে মুখ আরেক রকম বিভৎস। এ বিভৎসতার কারণেই মান্নান হয়তো তার মাথা নুইয়ে রেখেছে!

এটি একটি প্রিমিয়াম পোস্ট। পুরোটা পড়তে অনুগ্রহ করে পোস্টটি কেনার মাধ্যমে লেখককে সাপোর্ট করুন।

লেখক সম্পর্কে

মূলত গল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক। পাশাপাশি অনুবাদ করেন বিশ্বসাহিত্যের পছন্দের গল্পগুলো। জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮; রাজশাহী। ২০১০ সালে প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ঘন অন্ধকারের খোঁজে’ এবং ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ঘি দেয়া গরম ভাত আর চিতল মাছের পেটি’। মাঝে ২০১৩ সালে কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘মগডাল বাহাদুর’ প্রকাশিত হয়। লিখেছেন কিশোর উপন্যাস ‘লাবুদের দস্যিপনা’। প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষায়। জীবিকা অন্বেষণের স্রোতে ব্যস্তজীবন পেরিয়ে সাহিত্যপাঠের ফাঁকে ফাঁকে লিখেন খুব অল্পই। শিশু-কিশোরদের জন্য লিখতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে দুরন্তপনার গল্পগুলো। লেখকের কৈশোর জীবন তুমুল দুরন্তপনায় কেটেছে এমনটা নয়, তবু বেশ রঙিন এক কৈশোর কাটিয়েছেন মফস্বল শহরে। রঙিন সে জীবনে ফিরে যাবার সুযোগ না থাকায় খুব আফসোস হয়। এ আফসোস ঘোচাতেই লেখার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান কৈশোরে আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠেন ইচ্ছেমতো। প্রত্যাশা এতটুকুই, লেখাগুলো কেবল যথাযথ পাঠকের নাগালে পৌঁছে যাক, কিছু যথাযথ পাঠক সঙ্গী হোক লেখার এ দুরন্ত জীবনে।
মুহসীন মোসাদ্দেক মুহসীন মোসাদ্দেক গল্পকার, অনুবাদক ও শিশুসাহিত্যিক