পোস্টস

পোস্ট

কমার্শিয়াল আর্ট ও একজন নিতুন কুন্ড

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আশরাফুল ইসলাম স্বাধীন

মূল লেখক স্বাধীন

অনুবাদক স্বাধীন

আর্ট বা শিল্প একটি পরিচিত শব্দ৷ এখন আর্ট বা শিল্পের কথা শুনলেই অনেকের চোখের সামনে ভেসে উঠে চিত্রকর্ম,এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটে, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে না।  এই আর্ট বা শিল্পের রয়েছে  একটি বিশাল অংশ।
 একজন শিল্পীর চোখে সবকিছুই আর্ট, মানুষের জীবন-জীবিকা,চলাফেরা,কথাবার্তা সবকিছুই।
 এই বিশাল আর্টের অনেকগুলো ভাগ আছে। 
 যেমন:
 ক) ভিজ্যুয়াল আর্টস:
     ১) পেইন্টিং
     ২) অঙ্কন
     ৩)ভাস্কর্য
     ৪)প্রিন্ট মেকিং
     ৫)ফটোগ্রাফি
 খ) পারফর্মিং আর্টস:
     ১) থিয়েটার
     ২) নাচ
     ৩) সঙ্গীত
     ৪) অপেরা
গ)  সাহিত্য শিল্প:
     ১) কবিতা
     ২) গদ্য
     ৩) নাটক
     ৪) কল্পকাহিনী
 ঘ) আলংকারিক শিল্প:
     ১) স্থাপত্য
     ২) অভ্যন্তরীণ নকশা
     ৩) সিরামিক
     ৪) টেক্সটাইল আর্ট
 ঙ) ফলিত কলা:
     ১) গ্রাফিক ডিজাইন
     ২) শিল্প নকশা
     ৩) ফ্যাশন ডিজাইন
 চ) নতুন মিডিয়া:
     ১)ডিজিটাল আর্ট
     ২) ভিডিও আর্ট
     ৩) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আর্ট
এর মধ্যে থেকে আজকে আমরা শিখবো কমার্শিয়াল আর্ট। যাকে ভিজ্যুয়াল আর্ট ও বলা হয়ে থাকে।

কমার্শিয়াল আর্ট আসলে কি?
 কমার্শিয়াল আর্ট হচ্ছে বানিজ্যিকভাবে যে আর্ট বা শিল্পকে প্রচার বা তৈরি করা হয় তাকে, এককথায় ব্যাবসায়িক কাজের জন্যে ব্যাবহৃত আর্টকে কমার্শিয়াল আর্ট বলে।
কমার্শিয়াল আর্টে মোট পাচটি শাখা আছে:
     ১) পেইন্টিং
     ২) অঙ্কন
     ৩)ভাস্কর্য
     ৪)প্রিন্ট মেকিং
     ৫)ফটোগ্রাফি

 আবার কমার্শিয়াল আর্টে ডিজিটাল আর্ট ও আছে যেমন:
 1.গ্রাফিক ডিজাইন
 2.বিজ্ঞাপন 
 3. ইলাস্ট্রেশন
 4.পণ্য ডিজাইন
 5.ফ্যাশন ডিজাইন
 6.ওয়েব ডিজাইন
 7.অ্যানিমেশন
 8.ফটোগ্রাফি


 এই হলো কমার্শিয়াল আর্টের পরিচিতি।
এবার আসি নিতুন কুন্ড আর কমার্শিয়াল আর্টের বন্ডিং নিয়ে৷
 
 নিতুন কুন্ড অর্থাৎ  নিত্য গোপাল কুন্ডু
ছিলেন একজন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, নকশাবিদ, ভাস্কর, মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্প-উদ্যোক্তা।
যার জন্ম হয় ১৯৩৫ সালে এবং তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে  যোগ দেন, এর পরে ১৯৭৫সালে  একটা ফার্নিচার কোম্পানী করেন যেটার নাম দেন অটবি এবং এই কোম্পানী বেশ ভালোই সাফল্য লাভ করেছে সমসাময়িক যুগে। এর জন্যে অবশ্য  বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৭ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। তিনি বিখ্যাত কিছু কাজ করেছেন, যেমন :

  ১) সাবাশ বাংলাদেশ
  ২) সার্ক ফোয়ারা

ভাস্কর্যের স্থাপন করেন। 
এই হলো নিতুন কুন্ডের পরিচিতি।

তার সময়ে অনেক আর্টিস্ট ই ছিলেন, এই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট ও অনেক ছিলেন, কিন্তু কেউ ই তার মত করে সাফল্য পায় নি কেন পায় নি?
কারন একটাই, যারা ছিলেন তারা আর্টকে ওভাবে নিয়ে আসতে পারেননি জনসমাজের মধ্যে, যে কাজটা উনি করে দেখিয়েছেন।
 কমার্শিয়াল আর্ট করে যে নিজের জীবন আর পরিবার চালানো যায় এবং আর্থিকভাবে বেশ ভালোভাবে লাভবান হওয়া যায় এটা উনিই দেখিয়েছেন, যার ফলে বাংলাদেশে কমার্শিয়াল আর্ট আরো বহুগুনে পরিচিতি পেয়েছে,এবং প্রিয় হয়ে উঠেছে অনেকের কাছেই।